চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় চাকরির দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে এক নারীকে (৩৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার আসমানখালি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ভুক্তোভোগী নারী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গায় থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত মুলাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলার আসামিরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের আবু ছদ্দিনের ছেলে মুলাম হোসেন (৫০), বন্দরভিটা গ্রামের মৃত সন্টুর ছেলে রিপন ওরফে লিপন (৩৫), শালিকা গ্রামের বারেক আলীর ছেলে হাসান (৪০), জসিম উদ্দিনের ছেলে নাজিরুল (২৫), মহেশপুর গ্রামের মৃত তপেল বিশ্বাসের ছেলে হাবু (৪২), নান্দবার গ্রামের মান্নানের ছেলে হামিদুল (৩৪) ও আসমানখালী গ্রামের মনসের আলীর ছেলে মিজানুর কলুসহ অজ্ঞাত আরও একজন।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে ১২ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকতেন ওই নারী। সংসারে অভাব-অনটনের কারণে মানুষের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। পূর্বপরিচিত আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালি গ্রামের মৃত মনসেরের ছেলে মিজানুর কালুকে অভাব-অনটনের কথা জানিয়ে একটি চাকরির সন্ধান দিতে অনুরোধ করেন।

সেই সুবাদে গত মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওই নারীকে আলমডাঙ্গা উপজেলার আসমানখালি বাজারে আসতে বলেন মিজানুর। পরে বাজারে আব্দুর রশিদের দোতলা বাড়ির একটি কক্ষে নিয়ে মুলাম হোসেনের সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর সাতজন ও অজ্ঞাতনামা একজন তাকে ধর্ষণ করে তাকে ফেলে চলে যায়। সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে যান তিনি। পরে আসামিরা আসামিরা তাকে টাকা দিয়ে মীমাংসা করার চেষ্টা করে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার সন্ধ্যার দিকে গণধর্ষণের শিকার ওই নারী একটি মামলা করেছেন। রাতেই অভিযান চালিয়ে মুলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। বৃহস্পতিবার (আজ) ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।

আফজালুল হক/এনএ