পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ছোট বড় মিলে মোট ২০টি ফেরি রয়েছে। এর মধ্যে এখন যানবাহন পারাপার করছে ১৯টি ফেরি। বড় একটি ফেরি নষ্ট হয়ে আছে। এতে এই পথে পরিবহন পারাপারে বিলম্ব হচ্ছে।

যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করায় দীর্ঘসময় ঘাট এলাকায় অপেক্ষায় থাকছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক। এতে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ভোগান্তি বাড়ছে ট্রাক চালকদের। 

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ দিয়ে গড়ে প্রতিদিনি দেড় থেকে দুই হাজার যানবাহন পারাপার হয়ে থাকে। ৩০ মিনিটের নৌপথ পারাপার হতে সময় লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

শুক্রবার দুপুরে দেখা গেছে, পাটুরিয়ায় ৭০ থেকে ৮০টি বাস ও আড়াইশ সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক মিলে পারের অপেক্ষায় রয়েছে তিন শতাধিক যানবাহন। 

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন রাসেল ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, যাত্রীদের ভোগান্তি বিবেচনা করে যাত্রীবাহী বাস, ছোট গাড়ি ও জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। এতে ঘাট এলাকায় আটকে যাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো। যে কারণে ট্রাক চালকদের ঘাট এলাকায় দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর নৌপথ পারাপার হতে হয়।

সংশ্লিষ্ট ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ও ভাষা শহীদ বরকত ফেরি দুটি যাক্রিক ক্রটিজনিত কারণে পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ভাসমান মেরামত কারখানায় ছিল।

তবে দুপুরের দিকে ভাষা শহীদ বরকত ফেরিটি নৌবহরে যুক্ত হলেও যাক্রিক ক্রুটি নিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান নামের বড় ফেরিটি এখনও ভাসমান মেরামত কারখানায় রয়েছে। নৌবহরে একটি ফেরি কম থাকার কারণে যানবাহন পারাপারে ভোগান্তি বাড়ছে।

আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহামান বলেন, সরকারি ছুটির দিন হওয়াতে সকাল থেকেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলমুখী ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও বাসের চাপ রয়েছে পাটুয়িয়া ফেরিঘাট এলাকায়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব যানবাহন পারাপার করায় পণ্যবাহী ট্রাক সীমিতভাবে পারাপার করা হচ্ছে।

ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ছোট গাড়ির চাপ কমে গেলে সিরিয়াল অনুযায়ী সাধারণ পণ্যাবহী ট্রাকগুলো পারাপার করা হবে। অন্যদিকে বিকল একটি ফেরি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে বলে জানান জিল্লুর রহমান।

সোহেল হোসেন/এমএসআর