সড়কে গাড়ি থামিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খোঁজখবর নিচ্ছেন এমপি নূর মোহাম্মদ

চলতি পথে সড়কে গাড়ি থামিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খোঁজখবর নিয়েছেন কিশোরগঞ্জ-২ আসনের এমপি নূর মোহাম্মদ। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কটিয়াদীর আসমিতা এলাকায় তিনি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার খোঁজখবর নেন ও তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।

জানা গেছে, এমপি নূর মোহাম্মদ শনিবার নির্বাচনী এলাকা পাকুন্দিয়া যাওয়ার জন্য বাড়িতে থেকে বের হন। পথে আসমিতা এলাকায় আচমিতা জর্জ ইনস্টিটিউশনের নবম শ্রেণির ছাত্রীদের দেখেন ক্লাস শেষ করে তারা বাড়ি ফিরছেন। তা দেখে তিনি ড্রাইভারকে গাড়িটি থামাতে বলেন।

এরপর শিক্ষার্থীরা গাড়ির কাছে আসতেই তিনি কুশল বিনিময় ও পড়ালেখার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এমন একটি ভিডিও এমপির এপিএস এমআর মামুন রোববার (১৯ সেপ্টেম্বের) তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করলে মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে যায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, এমপি নূর মোহাম্মদ শিক্ষার্থীদের জিজ্ঞাসা করছেন, তোমরা কোন ক্লাসে পড়? তখন শিক্ষার্থীরা উত্তর দিচ্ছে নাইনে। তিনি আরও জানতে চান, কী পড়াল আজকে? শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয় ইংলিশ ফার্স্ট পার্ট। শিক্ষার্থীদের কাছে তখন তিনি জানতে চান ইংলিশ ফার্স্ট পার্ট কী পড়লা আজকে? শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয় স্টিভ জবসের একটা গল্প পড়িয়েছে।

তখন তিনি শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করেন, এই গল্পের মধ্যে কোনো কোটেশান আছে? তখন শিক্ষার্থীরা থেমে যায়। তখন তিনি শিক্ষার্থীদের প্রশ্নটা সহজভাবে বোঝানোর জন্য বলেন, এই গল্পের মধ্যে কী কোনো শিক্ষণীয় বিষয় আছে? তখন শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয় এই গল্পে স্টিভ জবস যে কোম্পানিতে অবদান রেখেছেন সে বিষয়ে উল্লেখ আছে।

তখন তিনি জানতে চান গল্পটি পড়ে তোমাদের কী মনে হয়েছে? তখন শিক্ষার্থীরা উত্তর দেয় অনেক ভালো। এমপি নূর মোহাম্মদের প্রশ্নের উত্তর শুধু একজন শিক্ষার্থীই উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তিনি অন্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই তোমরা কথা বলো না কেন?

তখন তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, লিডারশিপ কী, জানো? যেমন সে একা কথা বলছে, সব নাম্বার তো সে নিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি হাসতে হাসতে বলেন, তোমরা যদি কথা না বলো তাইলে তো তোমরা নাম্বার পাবে না। পরীক্ষায় কিন্তু এইগুলো লাগবে। ঠিক আছে, যাও...।

এপিএস এমআর মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এর আগেও করোনার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকার পর খোলার প্রথম দিনে চলতি পথে গাড়ি দাঁড় করিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন এমপি পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ।

এসকে রাসেল/এমএসআর