ছাত্রলীগের নেতারা অটোরিকশা তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরশ চন্দ্র দে’র হাতে

দেশকে শত্রুমুক্ত করতে যে হাতে অস্ত্র চালিয়েছিলেন, সেই হাতে এখন রিকশা চালিয়ে সংসার চালান বীর মুক্তিযোদ্ধা পরশ চন্দ্র দে। নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের ভগবানগঞ্জ এলাকার একটি ঝুপড়ি ঘরে একমাত্র ছেলে আর স্ত্রী নিয়ে তার অভাবের সংসার।

অর্থের অভাবে লেখাপড়া করাতে পারেননি ছেলে কিংকরকে (২০)। তিনিও কাজ করেন একটি দোকানে। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এই বীর মুক্তিযোদ্ধার এমন কাহিনি ফেসবুকে তুলে ধরেন এক যুবক।

আর তা দেখেই পাশে দাঁড়ালেন অপর বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান ইমতিনান ওসমান অয়ন। যিনি অয়ন ওসমান নামেই পরিচিত। তার দাদা প্রয়াত একেএম শামসুজ্জোহা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তার বাবা শামীম ওসমান এমপি।

রোববার (১৯ সেপ্টম্বর) দুপুরে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের নেতারা অয়ন ওসমানের অর্থায়নে কিনে দেওয়া অটোরিকশা তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরশ চন্দ্র দে’র হাতে। এই অটোরিকশা ভাড়ায় দিয়ে সংসারে সচ্ছলতা আনবেন তিনি। চালাতে হবে না রিকশা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা পরশের ছেলে কিংকর জানান, আমার বাবা দেশ স্বাধীনের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেন। তালিকায় নামের ভুল আসায় সরকারের দেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগসুবিধা পাননি তিনি। পরশ চন্দ্র দে এর স্থলে নাম আসে পরশ চন্দ্র দেব।

তিনি আরও বলেন, সংশোধনের জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সংসার অসচ্ছলভাবে চলতো। বাবার কথা শুনে অয়ন ওসমান এভাবে এগিয়ে আসবেন ভাবতে পারিনি। এই অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে সচ্ছলভাবে চলতো পারব।

পরশ চন্দ্র দে বলেন, আমার কষ্টের কথা শুনে আরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এগিয়ে এসেছে। অয়ন ওসমান এই প্রজন্মের ছেলে, আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এটার নামই স্বাধীনতা, এটার নামই বাংলাদেশ, এখন মনে হচ্ছে যুদ্ধ করা স্বার্থক হয়েছে।

চাবি তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক আশরাফুল ইসমাঈল রাফেল, যুবলীগ নেতা আহাম্মেদ কাউছার, তোলারাম কলেজ ছাত্রলীগের সম্পাদক আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

রাজু আহমেদ/এমএসআর