প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী দেশের নিরাশ্রয় দরিদ্র ভূমিহীনদের বিনা পয়সায় জমি ও বাড়ি দেওয়ার প্রকল্পকে ইবাদত হিসেবে নিয়েছেন। দরিদ্র ও ভূমিহীন মানুষদের জমিসহ বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার এমন কর্মসূচি শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে বিরল। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই আশ্রয়ণ প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়ে আমরা সবাই গর্বিত। 

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাইজদিহি এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এসব কথা বলেন। 

তিনি আরো বলেন, আমার চাকরি জীবনে অনেক ভালো কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পের চেয়ে ভালো কাজ জীবনে আর কখনও করিনি। এ কাজে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমার কর্মজীবন সার্থক হয়েছে। 

এসময় সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়াসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ড. আহমদ কায়কাউস আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। এসময় তিনি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৫০টি ঘরে বসবাসকারী উপকারভাগীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। জবাবে উপকারভোগীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তাদের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে আসার জন্য ড. আহমদ কায়কাউসকে ধন্যবাদ জানান। 

এসময় মুখ্য সচিবের সহধর্মীণি মাফরুহা আহমদ তার সঙ্গে ছিলেন। মুখ্য সচিব আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মিত ঘরগুলো দেখে এর নির্মাণ কাজের প্রশংসা করেন। পরে মুখ্য সচিব ও তার স্ত্রী মাফরুহা আহমদ প্রকল্প এলাকায় একটি নিম ও একটি আমলকি গাছের চারা রোপন করেন। 

মুখ্য সচিবের আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন উপলক্ষে প্রকল্পের উপকারভোগীদের জীবন মান উন্নয়নে উপজেলা কৃষি, যুব উন্নয়ন, প্রাণী সম্পদ অফিসের যৌথভাবে গৃহিত বেশ কয়েকটি প্রকল্প চালু করা হয়। সচিব এসব প্রকল্প কাজের উদ্বোধন করেন। 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের জীবন মান উন্নয়নে কৃষি, গবাদী পশু পালন, সেলাই প্রশিক্ষণে এসব প্রকল্প কাজ করবে। এর মাধ্যমে উপকারভোগীরা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ শেষে সহজ শর্তে ঋণ সুবিধা নিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। 

ওমর ফারুক নাঈম/এমএএস/জেএস