নির্বাচন পূর্ব সহিংসতায় এক নারী নিহতসহ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনার মধ্যদিয়ে বাগেরহাটের ৬৫ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় একযোগে ৫৯৯টি কেন্দ্রে ভোট শুরু হয়। ভোর থেকে জেলাজুড়ে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টি উপেক্ষা করেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

সকাল ৮টায় বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র আড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটারদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি ছিল। এই কেন্দ্রে ২ হাজার ৪৬৭ জন ভোটার রয়েছেন। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় শুধু সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে নির্বাচন হচ্ছে।

এ ছাড়া সদর উপজেলার কাড়াপাড়ার সব ওয়ার্ডেই ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। এর মধ্যে ৭ নং ওয়ার্ডে দুই প্রার্থীর উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হলেও পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ভোট দিতে আসা মো. ইয়াকিব শেখ বলেন, সকালে বৃষ্টির মধ্যে এসে ভোট দিলাম। আমরা চাই সুষ্ঠু নির্বাচন।

ভোটার আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রথমবার ভোট দিলাম। ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে।

এদিকে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ধোপাখালী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদ রানা লালন তার এজেন্টদের জোর করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে ভোট বর্জন করেছেন। তিনি বলেন, সকাল থেকেই আমার কর্মী-সমর্থকদের চাপ দিচ্ছিল নৌকা প্রতীকের লোকজন। পরে আমার এজেন্টদের বুথ থেকে জোর করে বের করে দেয়। ভেবেছিলাম নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকটি জায়গায় হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া রোববার রাতে নির্বাচনী সহিংসতায় মোংলায় এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মোরেলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটের ৯ উপজেলার ৬৬ ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে। তবে ভোট হচ্ছে ৬৫টিতে। কারণ কচুয়া উপজেলার রাঢ়ীপাড়া ইউপিতে চেয়ারম্যান, সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যের ১৩টি পদের সব কটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন প্রার্থীরা।

তানজীম আহমেদ/এসপি