কক্সবাজারের মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুইজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সময় এসব সহিংসতার ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নে একটি ভোটকেন্দ্রে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আবুল কালাম নামে একজন নিহত হন। এ সময় আরও চারজন গুলিবিদ্ধ হন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের কারণে দুই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। 

নিহত আবুল কালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোশাররফ হোসেন খোকনের সমর্থক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী শেখ কামাল। তার প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীকের মোশাররফ হোসেন খোকন। এ দুজনের সমর্থকদের মধ্যে ভোট জালিয়তি নিয়ে সকাল ১১টার দিকে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনিময় হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই আবুল কালাম (৪০) নিহত হন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছে পুলিশ। যেখানে সংঘর্ষ হয়েছে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার ভোটগ্রহণ শুরু হবে।

এদিকে কুতুবদিয়া বড়ঘোপ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড়ের পিলটকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে আবদুল হালিম (৩০) নামে একজন নিহত হয়েছেন। 

আবদুল হালিম বড়ঘোপ ইউনিয়নের গোলদারপাড়া এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে এবং ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছু লোক ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করছিল। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক সদস্যের গুলিতে আবদুল হালিম আহত হন। তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

কুতুবদিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর হায়দার জানান, ভোটকেন্দ্রে গোলযোগ সৃষ্টির চেষ্টাকালে আবদুল হালিম নামে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।

মুহিববুল্লাহ মুহিব/এসপি/জেএস