ময়মনসিংহ নগরীতে স্ত্রীর সহায়তায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টানা কয়েক মাস ধর্ষণ করা হয় কিশোরীকে (১৩)।

বিষয়টি র‌্যাব-১৪ কার্যালয়ে জানানো হলে রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযুক্ত হোসেন আলীকে (৫০) গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে মামলা শেষে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

নগরীর কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির ময়মনসিংহ জেলা সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তামান্না হোসেনের তৃতীয় স্ত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হোসেন আলীর বাসার পাশেই ভাড়াটে বাসায় পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন ওই কিশোরী। একই এলাকায় বাসা হওয়ায় হোসেন আলীর পরিবারের সঙ্গে কিশোরীর পরিবারের সখ্য গড়ে ওঠে। চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি কিশোরীকে বাসায় ডেকে নেন হোসেনের স্ত্রী তামান্না আক্তার। বাসায় নেওয়ার পর শরবতের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে দেন। এতে চেতনা হারিয়ে ফেললে কিশোরীকে ধর্ষণ ও তা ভিডিও ধারণ করেন হোসেন।

এরপর ধারণ করা ভিডিও দেখিয়ে জিম্মি করা হয় কিশোরীকে। হোসেনের কথামতো কাজ না করলে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

এরপর টানা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন হোসেন। আর সব সময় সহায়তা করেন স্ত্রী তামান্না। এক পর্যায়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে পরিবারটি বাসা পরিবর্তন করে নগরীর অন্য একটি এলাকায় চলে যান। সেখানেও লোকজন নিয়ে মেয়েটিকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন হোসেন। পরে র‌্যাবকে জানানো হলে রোববার রাতে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করে র‍্যাব-১৪।

কিশোরী মেয়েটিকে ধর্ষণের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে ওই দিন রাতেই থানায় একটি মামলা করেন। এতে হোসেন ও তার তৃতীয় স্ত্রীকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ হোসেনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে কিশোরীর মেডিকেল পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, কিশোরীকে ধর্ষণে হোসেনের স্ত্রীর কোনো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই নারীও পলাতক রয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উবায়দুল হক/এনএ