রাশেদুজ্জামান বাপ্পী

ঘরে দুই স্ত্রী ও দুই সন্তান রেখে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে নিয়ে পালিয়েছেন জুতা ব্যবসায়ী রাশেদুজ্জামান বাপ্পী (৩৫)। ৯ সেপ্টেম্বর সকালে তিনি ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যান।

জানা যায়, এখন পর্যন্ত তাদের খোঁজ মেলেনি। ১৩ সেপ্টেম্বর বাপ্পীসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে বাগেরহাট মডেল থানায় অপহরণ মামলা করেছেন ওই কিশোরীর বাবা।

আসামিরা হলেন বাগেরহাট সদরের লাউপালার রাশেদুজ্জামান বাপ্পী, তার ভাই হাছিব হাওলাদার, বন্ধু হরিচাঁদ দাস, মিঠু শেখ, বাবু হাওলাদার, মনিরুল ও সজীব শেখ।

ওই কিশোরী লাউপালা রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। অন্যদিকে বাপ্পীর যাত্রাপুর বাজারে জুতার দোকান রয়েছে। জুতা কিনতে যাওয়ার সুবাদেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ করে ছাত্রীর অসহায় বাবা বলেন, ৯ সেপ্টেম্বর সকালে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের উদ্দেশে রওনা দেয় তার মেয়ে।

পথিমধ্যে যাত্রাপুর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পৌঁছালে স্থানীয় জুতার দোকানদার রাশেদুজ্জামান বাপ্পি তার লোকজন নিয়ে মেয়েকে অপহরণ করে। বাপ্পিসহ ৭ জনকে আসামি করে মামলা করি। কিন্তু এখনও মেয়েকে খুঁজে পাইনি বলে জানান তিনি।

শিক্ষার্থীর মা বলেন, এক বছর আগে থেকে বাপ্পী আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাইনি। শেষ পর্যন্ত সে আমার মেয়েকে অপহরণ করে ছাড়ল। যেকোনো মূল্যে আমি মেয়েকে ফিরে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাপ্পীর দুই বউ ও ছোটো ছোটো দুটি সন্তান রয়েছে। এরপরও তিনি এলাকার অনেক কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করেন। স্ত্রীদের বাধা সত্ত্বেও বাপ্পী এ ধরনের কাজ করে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যাত্রাপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, বাপ্পী এই বাজারে দোকান দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন কিশোরীকে বিরক্ত করত। জুতার দোকান হওয়ায় কিশোরী মেয়েরা তার দোকানে যেত। আর এই সুযোগটাই সে কাজে লাগাত।

বাগেরহাট মডেল থানার এসআই সেরাজুল ইসলাম বলেন, কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অপহরণ মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। দ্রুত কিশোরীকে উদ্ধার ও আসামিদের গ্রেফতারে সক্ষম হব।

তানজীম আহমেদ/এমএসআর