মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বান্দরবানের সাতটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্যটনকেন্দ্র থানচিতে। পর্যটকের আনাগোনাও বেশি এই উপজেলায়। তাইতো উপজেলার বড়মদকে পর্যটকদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন একটি ঝুলন্ত সেতু। ৩০ সেপ্টেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর (উশৈসিং) সেতুটি উদ্বোধন করবেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পর্যটক ও বড়মদক বাজারে যাতায়াতের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে সাংগু নদীতে ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করেছে পার্বত্য জেলা পরিষদ। দুই পাড়ের বাসিন্দাদের মেলবন্ধন ও পর্যটন শিল্পকে এক ধাপ এগিয়ে নিতে নতুন এই ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

বড়মদক বাজারের বাসিন্দা অংশৈম্যা মারমা বলেন, সেতুটি নির্মাণের ফলে বড়মদক অঞ্চলের একমাত্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা লেখাপড়া করার সুযোগ পাবে।

একই বাজারের বাসিন্দা উবামং মারমা বলেন, বর্ষাকালে সাংগু নদীতে পানি বেশি থাকে। তখন ওপারের ৩০টি পাড়ার বাসিন্দাদের অনেক কষ্টে এপারে আসতে হয়। সেতুটি নির্মাণের ফলে দুই পাড়ের পাঁচ হাজার মানুষের মেলবন্ধন হলো।

থানচির রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা বলেন, ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণের ফলে পর্যটন এবং দুই পাড়ের বাসিন্দাদের অনেক উপকার হয়েছে। পর্যটকরা থানচির তিন্দু, রেমাক্রি ও নাফকুম ভ্রমণের পাশাপাশি এবার জেলা থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরত্বের এই ঝুলন্ত সেতু দেখার জন্য বড়মদক আসতে পারবে। এতে সাঙ্গু নদীতে নৌ ভ্রমণের পাশাপাশি এ এলাকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবে। ফলে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে দুর্গম বড়মদক।

পার্বত্য বান্দরবান জেলা পরিষদের প্রকৌশল বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী থোয়াইচমং মারমা বলেন, অনেক কষ্ট ও ত্যাগ স্বীকার করে বড় মদকবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঝুলন্ত সেতুটি নির্মাণ করতে পেরেছি। পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লার নির্দেশে ঝুলন্ত সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী ২৯-৩০ সেপ্টেম্বর দুই দিনের সফরে থানচি আসছেন। তিনি বড়মদকের ঝুলন্ত সেতুর শুভ উদ্বোধন করবেন।

রিজভী রাহাত/এসপি