মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলায় পানিতে পড়ে যাওয়া শিশুকে (৩) মৃত ঘোষণা করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক।  কিন্তু বাসায় নেওয়ার পর দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করার সময় হঠাৎ নড়ে ওঠে শিশুটি।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পুকুরের পানিতে পড়ে যাওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলো শিশুকে। কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। পরে শিশুটিকে বাসায় নিয়ে দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করার সময় হঠাৎ নড়াচড়া করে শিশুটি। আবার শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তবে চিকিৎসকের ভুল তথ্যে জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা করায় দীর্ঘ সময় ব্যয় হয়েছে বলে পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন। তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চিকিৎসায় অনেক সময় নষ্ট হয়েছে। শিশুটি এখন মারা গেল, এর দায় নেবে কে? চিকিৎসাসেবার মান নিয়ে অভিভাবকসহ স্থানীয় জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, জীবিত শিশুকে হাসপাতাল ও বাড়িতে দুবার আসা-যাওয়ার ফলে শিশুটি সময়মতো সুচিকিৎসা পায়নি। সে জন্য মারা যায়।

শিশুর চাচা বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার ভাতিজাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কণিকা সিনহা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর আমরা তাকে বাড়িতে নিয়ে দাফনের ব্যবস্থা করার সময় হঠাৎ নড়াচড়া করতে দেখা যায়।

স্থানীয়রা জীবিত আছে বললে আবারও নিয়ে আসি কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তখন হাসপাতালের চিকিৎসক শিশুটিকে ভর্তি না করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলেন। সেখানে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুল আলম ভূঁইয়া জানান, তিনি সিলেটে একটি সভায় আছেন। জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণার বিষয়টি তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

ওমর ফারুক নাঈম/এনএ