ফরিদপুরে এক মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার দায়ে জিন্দার আলী (৩৬) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় দেন। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কদমী গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রায় ঘোষণার পর জিন্দার আলীকে পুলিশ প্রহরায় জেলা কারগারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার স্বজনদের বিলাপ করতে দেখা যায়।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্বপন কুমার পাল জানান, নিহত ওই মেয়েটি (২০) স্থানীয় একটি মাদরাসার আলিম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিল। মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে তাকে উত্ত্যক্ত করতেন একই গ্রামের জিন্দার আলী। এক সময় বিয়ের প্রস্তাব দেন তিনি। তবে মেয়েটি ও তার পরিবারের সদস্যরা এ প্রস্তাবে রাজি হননি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে হুমকি দেন জিন্দার আলী।

২০১০ সালের ২০ মে ওই ছাত্রী গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে ফেরার পথে জিন্দার আলী গ্রামের একটি পাটক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণের পর কাঁচি দিয়ে গলাকেটে তাকে হত্যা করেন। পরদিন ২১ মে সকাল ৮টার দিকে টোংরাইল-বনমালীপুর সড়কের দক্ষিণ পাশের খাল থেকে তার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে ওই বছরের ২২ মে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামরুল হত্যার ঘটনায় আসামি শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে গোয়েন্দা পুলিশের ওসি গোলাম আবু বক্কর গত ২০১৩ সালের ৩১ আগস্ট জিন্দার আলীকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর জিন্দার আলীকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ওই বছরের ৩০ জুলাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুল ইসলামের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ওই জবানবন্দিতে হত্যার আগে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেন জিন্দার আলী। 

আরআই/আরএআর