বগুড়ার কাহালুতে সাবেক স্ত্রীর করা মামলায় গোলাম রসূল (৩১) নামে এক ব্যক্তিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন রাজশাহীর আদালত। 

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর)  রাজশাহী (জেলা ও দায়রা জজ) সাইবার ট্রাইবুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান এ আদেশ দেন। এছাড়াও তাকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড আনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

পাশাপাশি রায়ে বলা হয়েছে, আসামি যদি অর্থদণ্ড দিতে রাজি হয় তাহলে সিআরপিসি ৫৫৪ ধারায় জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী পেতে পারে। মামলার রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত গোলাম রসূল বগুড়ার কাহালু উপজেলার পাঁচগ্রাম গ্রামের মৃত নওয়াব আলীর ছেলে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন-২০০৬ এর ৫৭ ধারায় এ জেল ও জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। 

মামলা সূত্রে জানা যায়, কাহালু উপজেলার বাসিন্দা ও সরকারি আজিজুল হক কলেজের অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মামলার বাদীর বাড়ির সামনে ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি ভোরে একটি খামে দুই কপি ছবি পাওয়া যায়৷ প্রতিবেশি আরও অনেকের বাড়ির সামনে একই ছবি খামে করে রেখে দেন গোলাম রসূল। 

গোলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ভুক্তভোগীর। ২০১৬ সালে তারা নোটারী পাবলিকের এফিডেভিট করে বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তারা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একান্ত সময় কাটানো অবস্থায় আসামি তাদের কিছু ব্যক্তিগত ছবি তুলে রাখে। বিয়ের কিছুদিন পরে ওই বছরের ১০ আগস্ট ভুক্তভোগী জানতে পারেন গোলামের  স্ত্রী ও সন্তান আছে।

এরপর ২১ আগস্ট বগুড়া শহরের একটি কাজী অফিসে আসামিকে তালাক দেন ভুক্তভোগীঅ। তালাক নোটিশ পাওয়ার পরে তুলে রাখা ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন আসামি। শেষ পর্যন্ত তালাকের সিদ্ধান্তে অটুট থাকায় গোলাম এসব ছবি ছড়িয়ে দেন। 

এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি বগুড়ার কাহালু থানায় গোলাম রসূলকে আসামি করে ৫৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে কাহালু থানা পুলিশ আসামির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীর ৩৯টি নগ্ন ছবি, কম্পিউটার ও মুঠোফোন জব্দ করে ও গোলামকে গ্রেফতার করে। পরে অবশ্য জামিন পেয়ে যান গোলাম। 

কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আমবার হোসেন জানান, মামলার রায় বা ওয়ারেন্ট এখনও থানায় আসেনি। ওয়ারেন্ট পাওয়া মাত্র আসামি পলাতক থাকলে তাকে গ্রেফতারে অভিযান করবো। 

এনএফ