রংপুরে পুলিশি হয়রানি বন্ধসহ বিভিন্ন অযুহাতে জরিমানার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন ট্রাক চালকরা। পুলিশকে এ ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান শ্রমিক নেতারা। অন্যথায় আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুমকি দেন বিক্ষুদ্ধরা।

মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর আর. কে রোড ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক অবরোধ করে এ বিক্ষোভ করা হয়। প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা ধরে চলা এ অবরোধের কারণে সড়কের দুপাশে যানজট সৃষ্টি হয়।  

বিক্ষুদ্ধ ট্রাক চালকরা জানান, রংপুরের লোকাল ট্রাকগুলো ইট, বালু ও মাটি বহন করে। কিন্তু রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ৬টি থানা এলাকার সড়কে চলাচলকারী এসব ট্রাকের কাগজপত্র হালনাগাদ থাকার পরও প্রতিনিয়ত হয়রানি, বিভিন্ন অযুহাতে মামলা ও চাঁদাবাজি করে আসছে। থানা পুলিশের এসব হয়রানির প্রতিবাদে বেশ কয়েকবার পুলিশ কমিশনারকে  লিখিত ভাবে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও পুলিশি হয়রানি থামেনি। এসবের প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ করেন।

ট্রাক চালক দুলাল মিয়া বলেন, আমার গাড়ির কাজগপত্র ঠিক থাকার পরও তিনদিন আগে পুলিশ আমাকে ছয় হাজার টাকার মামলা দিয়েছে। অথচ আমার কোনো অপরাধ নেই। এ রকম হয়রানির ঘটনা তারাগঞ্জ ও পীরগঞ্জ সড়কে সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

হঠাৎ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রসঙ্গে রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংলরী, কাভার্ডভ্যান ও ট্রাক্টর শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক বাদশা মিয়া বলেন, সোমবার (৪অক্টোবর) রাতে নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংক মোড়ে ট্রাক থামিয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান
এক পুলিশ সদস্য। কাগজের ফটোকপি দেখালে মূল কাগজ দেখতে চান। পরে মূল কাগজপত্র দেখানোর পরও একটি মামলা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ চালক ও শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আমরা হয়রানির অবসান চাই। 

এদিকে সড়ক অবরোধ চলাকালে ঘটনাস্থলে ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মেনহাজুল আলম ও সহকারী পুলিশ কমিশনার ফরহাদ ইমরুল কায়েস উপস্থিত ছিলেন । তারা দায়ী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ চালক-শ্রমিকেরা অবরোধ তুলে নেন। 

আরআই