ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পুনরায় সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনের নির্ধারিত যাত্রাবিরতি শুরু করার দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছে জেলা নাগরিক ফোরাম। শনিবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে সংগঠনটির উদ্যোগে রেলওয়ে স্টেশনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়। মানববন্ধনে বক্তারা আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে রেলওয়ে স্টেশনে সব ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত না করলে রেলপথ অবরোধ করে পূর্বাঞ্চল রেলপথে ট্রেন চলাচল করতে না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের বিরোধিতা করে গত ২৬-২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনার পর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহ্বায়ক আব্দুন নূর, জেলা জাসদের সভাপতি আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য নজরুল ইসলাম, জেলা নাগরিক ফোরামের প্রধান পৃষ্ঠপোষক দেওয়ান মারুফ, সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত প্রমুখ। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পরিচালনা করেন সাংবাদিক ও সংগঠক হাবিবুর রহমান পারভেজ।

এ সময় বক্তারা বলেন, সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে আছে। ট্রেন না থামার কারণে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। সিগনালিং সিস্টেম ধ্বংসের দোহাই দিয়ে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকে কষ্ট দেওয়া হয়েছে। এটি কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে যদি সব আন্তঃনগর, মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত না করা হয় তাহলে রেলপথ অবরোধ করে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর