নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ পরিবহন করায় ৫ জেলেকে আটক ও ৭ মণ ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৫ জেলেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

গতকাল (শনিবার) সন্ধ্যায় উপজেলার নলচিরার বাংলাবাজার এলাকায় সন্দ্বীপ থেকে লক্ষ্মীপুরগামী লঞ্চে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাতিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সন্দ্বীপ থেকে লক্ষ্মীপুরগামী লঞ্চে তল্লাশি করে প্রায় ৭ মণ ইলিশ জব্দ করি। এরপর নিষেধাজ্ঞার মধ্যে ইলিশ পরিবহন করার দায়ে ৫ জেলেকে আটক করি। এদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে ৭ মণ ইলিশ পাঁচটি এতিমখানায় বিতরণ করেছি। 

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন,  ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে গত ৩ অক্টোবর দিবাগত রাত থেকে ২২ দিনের জন্য নদ-নদী এবং সাগরে সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। হাতিয়ার মেঘনা নদীতে ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্র বেশি। এ কারণে বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে। এসব নিষিদ্ধ কর্মকাণ্ডে জড়িত জেলে ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকলের উপলব্ধি মা ইলিশ সংরক্ষণ করলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। তাই মা ইলিশ সংরক্ষণে নোয়াখালী জেলা জুড়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। 
নিষেধাজ্ঞার এ সময়টাতে কেউ যেন নদ-নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে সে লক্ষ্যে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মৎস্য বিভাগের যৌথ অভিযান অব্যাহত আছে। কেউ আইন ভঙ্গ করলে তাদের জেল জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। মা ইলিশ রক্ষায় জনস্বার্থে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

অভিযানে হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র দাসসহ উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

হাসিব আল আমিন/এনএফ