ত্রুটিপূর্ণ চাহিদাপত্র দেওয়ায় নওগাঁর দুই প্রতিষ্ঠানপ্রধানের তিন মাসের এমপিও বাতিল করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর। 

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার পুঁইয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা আলী মণ্ডলের ও পোরশা উপজেলার পোরশা উচ্চ মাদরাসা কাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।  

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপসচিব মো. কামরুল হাসানের ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে জানা যায়, ২০১৯ সালের দ্বিতীয় শিক্ষক নিয়োগ চক্রের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের জন্য ক্রটিপূর্ণ চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। এনটিআরসিএ কর্তৃক মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হয়ে সুপারিশ পাওয়ার পরও ত্রুটিপূর্ণ চাহিদার কারণে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকের এমপিওভুক্তিতে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এ জন্য ত্রুটিপূর্ণ চাহিদা প্রেরণকারী অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষকের বেতন ভাতার সরকারি অংশ তিন মাসের কর্তন করার জন্য নির্দেশ দেন। 

এ বিষয়ে পুঁইয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা আলী মণ্ডল বলেন, আমি জনবল কাঠামো ঠিক মতো বুঝতে না পারার কারণে দ্বিতীয় নিয়োগ চক্রে ভৌতবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকের চাহিদা পাঠিয়েছিলাম। সেই চাহিদার ভিত্তিতে এনটিআরসিএ থেকে একজন শিক্ষকের নিয়োগের সুপারিশ করে। তাকে আমরা নিয়োগ দেওয়ার পর প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু বেতন ভাতা দিতাম। তারপরও কর্তৃপক্ষ আমার তিন মাসের বেতন কাটার নির্দেশনা দিয়েছে। 

এ ব্যাপারে পোরশা উচ্চ মাদরাসা কাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ ফয়সাল বলেন, যখন চাহিদাপত্র পাঠানো হয় তখন আমি এই প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। 

এ প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি এবং এ ব্যাপারে তিনি খবর প্রকাশ না করতে অনুরোধও করেন। 

উল্লেখ্য যে, মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের ১২ জুন জারি হওয়া এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোতে কিছু নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছিল। বিধান ছিল, এসব পদে নিয়োগে মন্ত্রণালয় আলাদা আদেশ জারি করবে। এ পদগুলো নবসৃষ্ট পদ নামে বহুল পরিচিত। এসব প্রতিষ্ঠানপ্রধান আদেশ জারির আগেই দ্বিতীয় চক্রে শিক্ষক নিয়োগের চাহিদা হিসেবে সে পদগুলোকে শূন্য দেখিয়েছিলেন। ফলে, সুপারিশ পাওয়া প্রার্থীরা এমপিওভুক্ত হতে পারছিলেন না। 

মো. দেলোয়ার হোসেন/এনএফ