আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় হামলা, আহত ১০

কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিককে বরণ করাকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১১ অক্টোবর) রাতে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। 

জেলা আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশগ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিককে অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। 

পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলী এবং সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন,সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের উপস্থিতিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম ওবায়দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আফসানা মিমিসহ প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় সার্কিট হাউসেও ভাঙচুর করা হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং শফিক ভাইয়ের নামে শ্লোগান দেওয়া হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নামে শ্লোগান না দেওয়ায় যুবলীগের সাধারণ কর্মী, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন সরকার লিংকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীরা উত্তেজিত হয়ে আমাকে লাঞ্ছিত করে পাঞ্জাবি ছিঁড়ে দেয়। এ সময় সাধারণ নেতাকর্মীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের মাঝে কোনো গ্রুপিং নেই। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর ছত্রছায়ায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন সরকার লিংকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহরিয়ার বলেন, সার্কিট হাউসে কেন্দ্রীয় নেতাকে বরণ করাকে কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জুয়েল রানা/এসপি