গোপালগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে লাথি মারাসহ দুই দফায় মারপিট ও বরখাস্তের ঘটনায় মানববন্ধন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসব কর্মসূচি পালিত হয়। এতে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটির নেতারা অংশ নেন।

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ও গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি আছমা খানমের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-মহিলা সম্পাদক খাদিজা বেগম, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষক ফরিদা ইয়াসমিন মিশরী প্রমুখ। 

এ সময় বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ওই সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শুধু একজন শিক্ষককে লাথি মারেননি, তিনি দেশের সব শিক্ষকের বুকে লাথি মেরেছেন। এমন জঘন্য ঘটনা ঘটানোর পরও পরিকল্পিতভাবে প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে উল্টো বরখাস্ত করা হয়েছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার এবং সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।

প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর সদর উপজেলার ২৮নং উরফি বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে লাথি মারেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম কুমার রায়। পরে ৫ অক্টোবর সকালে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, এলাকার সাবেক চেয়ারম্যান মো. মহিদুল আলম মাহাত্তাব খানের লোকজন তাকে ডেকে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় গালিগালাজ ও মারপিট করে। এ ঘটনার পর থেকে মনোজ কান্তি বিশ্বাস গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এনএ