পাবনার বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রেজাউল হক বাবুসহ ২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল কোর্টে মামলাটি করেন বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার পুরান ভারেঙ্গা ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের শংকর কুমার শীলের স্ত্রী সীমা রানী শীল।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দেওয়া এবং তা শেয়ার করার অভিযোগে তিনি এ মামলা করেন। রানী শীল জেলা আওয়ামী লীগের একজন কর্মী।

মামলা রেজাউল হক বাবুকে ২য় আসামি করা হয়েছে। তিনি বেড়া উপজেলার জাতসাকিনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি নয়াবাড়ি গ্রামের মৃত জহুরুল ইসলাম মিয়ার ছেলে। মামলার প্রথম আসামি হলেন, আমিনপুর থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের তোফাজ মোল্লার ছেলে মোল্লা আরমান।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাবনাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৯ সেপ্টেম্বর মোল্লা আরমানের ফেসবুক আইডি থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউলের একটি বক্তব্য লাইভ করা হয়। পরদিন রেজাউল সেটি নিজ আইডি থেকে শেয়ার করেন। এ ঘটনায় ২৬ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু বলেন, বিষয়টি মঙ্গলবার দুপুরে জানতে পেরেছি। মামলার কাগজপত্র উঠানো হচ্ছে। আইনের বিষয় আইনগতভাবেই মোকাবিলা করা হবে। একটি পক্ষের ইন্ধনে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে এ মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদী সীমা রানী শীল বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও মনগড়া কাহিনি সাজিয়ে পরিকল্পিতভাবে সরাসরি এবং ধারণকৃত বক্তব্য শেয়ার করে সামাজিক ও মানসিকভাবে অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করেছে অভিযুক্তরা। আমি ন্যায় বিচারের আশায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পাবনার এসপি ফজলে এলাহী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কোর্টের নির্দেশনা পাওয়ার পরই এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিবেদন দাখিল হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

রাকিব হাসনাত/আরআই/এনএ