যশোর শিক্ষাবোর্ডে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে হিসাব সহকারী আব্দুস সালামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) বোর্ড কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা।

সচিব জানান, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দোষ স্বীকার করেছেন সালাম। সেই সাথে ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। রোববার (১০ অক্টোবর) বিকেলে সালাম শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত দিয়ে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে টাকা জমা দেন। সালামের পক্ষ থেকে তার স্ত্রী লিখিত আবেদন ও টাকা জমা দেন। পরে সোমবার বোর্ড কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সালামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, যশোর শিক্ষা বোর্ডে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় রোববার (১১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন) যশোর কার্যালয়ে অভিযোগ করেন বোর্ডের সচিব এএমএইচ আলী আর রেজা। পরে দুপুর ১২টার দিকে দুদক কর্মকর্তারা বোর্ডে গিয়ে তদন্ত শুরু করেন। অভিযুক্ত ঠিকাদার শরিফুল ইসলাম বাবু ও আশরাফুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় মূলহোতা হিসাব সহকারী আব্দুস সালাম অনুপস্থিত ছিলেন। 

দুদকের কর্মকর্তাদের তদন্ত শেষে সালামের স্ত্রী দোষ স্বীকার করে লিখিত ও টাকা ফেরত দেন। সেখানে জানানো হয়, চেক জালিয়াতির ঘটনায় আব্দুস সালাম ব্যক্তিগতভাবে দায়ী। শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী, ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং ও শাহী লাল স্টোরের সঙ্গে জড়িত নন। পূর্ব পরিচিতির সূত্র ধরে দুই প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে তিনি টাকা উত্তোলন করেছেন। নিজ প্রয়োজনে খরচ করেছেন। ওই টাকা তিনি ফেরত দিতে ইচ্ছুক। তাই ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা ফেরত দিচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে সব টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোল্লা আমীর হোসেন বলেন, বোর্ড কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সালামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের পক্ষ থেকে দুদকে অভিযোগ করা হয়েছে। আইনের মাধ্যমে পুরো ঘটনার নিষ্পত্তি হবে। দোষীরা কোনোভাবেই রেহাই পাবে না।

জাহিদ হাসান/আরআই