নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় আগতদের সেবায় ভিন্নমাত্রা যোগ হয়েছে। কিছুদিন আগেও এ থানায় পুলিশিং সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহিতাদের মধ্যে নানা ধারণা থাকলেও গত এক মাস যাবৎ পাল্টেছে থানার চিত্র। থানায় আগত নারী-পুরুষসহ শিশুদের জন্য রাখা হয়েছে চকলেট। সেবা নিতে আসা লোকজনকে সেবা প্রদানের পাশাপাশি আপ্যায়ন স্বরুপ বড়দের চা-বিস্কুট আর শিশুদের একটি করে চকলেট দিচ্ছেন গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুল মতিন। 

থানায় মামলা, অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরি করতে আসা সেবা গ্রহিতারা পাচ্ছেন এ চা, চকলেট ও বিস্কুট।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগ দেন মো. আব্দুল মতিন। যোগদানের পর থেকেই তিনি সেবাগ্রহিতাদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে পাল্টে গেছে থানার চিত্র।

থানায় সেবা নিতে আসা উপজেলা পৌর সদরের বাসিন্দা নাহিদ জানান, থানায় একটি জিডি করতে এসেছিলেন তিনি। অফিসিয়াল কিছু কাগজপত্র হারানোর কারণে জিডি করতে এসেছিলেন। কীভাবে জিডি করব বা কী করতে হবে বুঝতে না পেরে ওসি সাহেবের কাছে যান তিনি। মনে ভয় নিয়ে গেলেও ওসির ব্যবহারে তিনি অবাক হয়েছেন। ওসি আব্দুল মতিন তাকে চা-বিস্কুট খাইয়ে জিডি করিয়ে দেওয়ায় তিনি সত্যিই পুলিশিং সেবায় মুগ্ধ।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আব্দুল মতিন ঢাকা পোস্টকে জানান, অপরাধ প্রবণতা কমাতে হলে প্রথমত সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশের বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে। থানায় যোগদানের পর থেকে উপজেলার প্রতিটি জায়গায় গিয়ে বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে অপরাধ সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে। কারণ অপরাধী যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আর থানায় আগত সেবাগ্রহিতাদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য বড়দের জন্য চা-বিস্কুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়াও অনেক সময় নারীদের সঙ্গে তাদের কোমলমতি শিশু সন্তানরাও আসে। মূলত তাদের জন্য চকলেট রাখা হয়েছে। মানুষ থানায় এসে যখন তার কাঙ্খিত সেবা নিয়ে বাড়িতে ফিরবে তখন সমাজের অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে গুরুদাসপুর উপজেলাকে মাদকমুক্ত ও সকল অপরাধ থেকে মুক্ত রাখা সম্ভব।  

তাপস কুমার/এমএএস