পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, কুমিল্লার ঘটনায় ৪৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রকৃত অপরাধীকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কুমিল্লা শহরের নানুয়ার দীঘির পাড় পূজামণ্ডপ ও  ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন

ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি পরিষ্কার, এর পেছনে উসকানি আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখলে বুঝা যাচ্ছে একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এটি প্রচার করা হচ্ছে। ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায় কিন্তু বাড়িঘর ভাঙচুর হচ্ছে কক্সবাজারের মহেশখালী, লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে।

সবার প্রতি অনুরোধ করে তিনি বলেন, এ ধরনের উসকানিমূলক ভিডিও যাচাই-বাছাই করে বিশ্বাস করুন। কেউ বেআইনি কাজে লিপ্ত হবেন না।

এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন। 

উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৩ অক্টোবর) ভোরে কুমিল্লা নগরীর নানুয়ার দীঘির পাড়ে একটি পূজামণ্ডপে মূর্তির সঙ্গে কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় সারা শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

অমিত মজুমদার/আরএআর