সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৭টি বক পাখি অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সিলেট নগরের শেখঘাট এলাকায় বন বিভাগের নার্সারি লাগোয়া সুরমা নদীর পাড়ে বকগুলো অবমুক্ত করা হয়।

এ ঘটনায় ইয়াহইয়া আহমদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট বন বিভাগের টাউন রেঞ্জ কর্মকর্তা (ওয়াইল্ডলাইফ) মো. শহীদুল্লাহ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম, বাংলাদেশ বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের প্রধান মোল্লা রেজাউল করিম এবং বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্লা রেজাউল করিম চৌধুরী।

বাপা সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, একসময় দিনে বিক্রি হতো এসব পাখি কিন্তু অভিযানের কারণে এখন রাতে বিক্রি করা হয়। এখানে একটি চক্র গড়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেও একজন বিক্রেতার কাছ থেকে পাখি উদ্ধার করে মুক্ত করা হয়েছে। এদের বারবার সতর্ক করার পরও কাজ হচ্ছে না। তাই এখন থেকে কেবল বিক্রেতা না, ক্রেতাদেরও আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছি। কারণ, ক্রেতারা না কিনলে বিক্রেতারা বিক্রিও করবে না।

অন্যদিকে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের প্রধান মোল্লা রেজাউল করিম বলেন, বক কৃষকের বন্ধু। এরা প্রচুর পরিমাণ পোকামাকড় খায়। যে কারণে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। বক যখন ধানক্ষেতের মাঝখান দিয়ে হাঁটে, তখন মাটি নরম হয়। এতে ধানের গোড়ায় বাতাস প্রবাহিত হয়। সেই সঙ্গে ধানে ক্ষতিকর অনেক পোকা আছে, যা এই বকগুলো খায়। কিন্তু মানুষ অজান্তেই উপকারী এই পাখিগুলো শিকার করে খেয়ে ফেলছে। এতে পরিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই ধানের উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। তাই এ রকম অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।

এর আগে বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ইয়াহইয়া আহমদ (৩৫) নামের এক বিক্রেতাকে আটক করে বন বিভাগের অভিযানিক দল। এ সময় মোট ৩৭টি পাখি উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ১৯টি কানিবক ও ১৮টি সাদা বক।

তুহিন আহমদ/এনএ