চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের মা-মেয়ে ও ১০ বছরের একটি শিশুকে নিয়ে ছড়ানো খবরটিকে ‘অসত্য ও গুজব’ বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ। তারা বলছেন, এটি অসত্য, একটি কুচক্রী মহল এটিকে সাম্প্রদায়িক ইস্যু বানিয়ে গুজব রটাচ্ছে।

শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল থেকে দেশ-বিদেশের একাধিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের মা-মেয়ে ও ১০ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এমনকি পরে শিশুটি মারাও গেছে। 

তবে এমন খবর নাকচ করে দিয়ে হাজীগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রুহিদাস বণিক এক ভিডিওবার্তায় বলেন, ‘একটি কুচক্রী মহল হাজীগঞ্জে নারী ও শিশুর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলে গুজব ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, জাতীয় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ বা বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের কোনো নেতৃবৃন্দ অবগত নয়।’
 
হাজীগঞ্জ উপজেলা হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সত্য ব্রত ভদ্র মিঠুন বলেন, হাজীগঞ্জ উপজেলার কোথাও হিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো পরিবারে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে।

হাজীগঞ্জ থানার আফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশীদ বলেন, হাজীগঞ্জে বুধবার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর বিভিন্ন গুজব রটছে। এটিও গুজব। ধর্ষণের বিষয়ে কোন মামলা বা অভিযোগ নিয়ে কেউ আসেনি। যারা গুজব ছড়াচ্ছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শোয়েব আহমেদ চিশতী বলেন, আমি বেশ কয়েকবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নথিপত্র খুঁজেছি। তবে এ ধরনের কোনো রোগী আমাদের হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়নি। 

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, হাজীগঞ্জের বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। যারা এ ধরনের গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ বিষয়ে চট্রগ্রামের অতিরিক্ত ডিআইজি ইকবাল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছি। বাস্তব ঘটনা হলো এটি একটি মিথ্যা ঘটনা। গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। 

শরীফুল ইসলাম/আরআই