রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মা নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ৯ শতাধিক যানবাহন। এসব যানবাহনের মধ্যে নৈশকোচ ও পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি। নদীতে নাব্যতা-সংকট, ফেরি স্বল্পতা এবং শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটের গাড়ি এই পথ ব্যবহারের কারণে ঘাটে এই যানজট সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে সরেজমিনে ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ফেরিঘাট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ ফিড মিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকায় ৯ শতাধিক যানবাহন ফেরিতে নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছে।

যাত্রীবাহী গাড়ি পারাপারের সুবিধার্থে ঘাট থেকে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পেছনে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া সড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ীর দিকে আহলাদীপুর জুট মিল পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকগুলো আটকে রাখা হয়েছে।

যাত্রীবাহী বাসগুলো ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করে ফেরির দেখা পেলেও ট্রাকগুলোকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ২০ থেকে ২৪ ঘণ্টা। দীর্ঘ সময় খোলা আকাশের নিচে অপেক্ষা করে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।

যশোর বেনাপোল থেকে আসা ট্রাকচালক ইশান গোপাল সাহা বলেন, রোববার দুপুরে গোয়ালন্দ মোড়ে আসি। সারা রাত খোলা আকাশের নিচে ছিলাম। ভোরের দিকে পুলিশ ছেড়ে দিলেও আবার ফিড মিলের কাছে এসে আটকে যায়।

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা দিগন্ত পরিবহনের যাত্রী মিরাজ শেখ বলেন, আমি ভোর ৫টায় এখানে আসি। ঘাট এলাকায় বাস সিরিয়ালে আটকে যায়। জরুরি একটা কাজে ঢাকা যাচ্ছিলাম। এখন দুপুর ১২টা বাজে কিন্তু ফেরিতেই উঠতে পারলাম না। সময়মতো পৌঁছাতে না পারলে আমার ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শিহাব উদ্দিন বলেন, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ঘাটে যানবাহনের ভয়াবহ চাপ বেড়েছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটের অতিরিক্ত গাড়ির চাপ এবং পদ্মায় নাব্যতা-সংকটের কারণে এই যানজট সৃষ্টি হয়। 

মীর সামসুজ্জামান/এমএসআর/জেএস