কুড়িগ্রামের উলিপুরে দুর্গাপূজা চলাকালীন ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো পরিদর্শন করেছেন রাজশাহী রেঞ্জের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি। মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে উলিপুরের থেতরাই এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ৪টি মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি। 

মন্দিরগুলো হলো, গুনাইগাছ ইউনিয়নের প‌শ্চিম কালুডাঙা ব্রাহ্মণপাড়া সর্বজনীন মন্দির, নেফরা শ্রী শ্রী দুর্গা ম‌ন্দি‌র, পশ্চিম কালুডাঙা সর্বজনীন দেবী মন্দির, এবং থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙা ভারতপাড়া সর্বজনীন দুর্গা ম‌ন্দি‌র।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের উলিপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (গবা), উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু, কুড়িগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চক্রবর্তী, উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আরও অনেকে।

পরিদর্শনকালে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার হামলার শিকার মন্দিরগুলোর কমিটির লোকদের সাথে এবং ভুক্তভোগী লোকজনের সাথে কথা বলেন। তবে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। 

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের উলিপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে (গবা) জানান, তিনি (ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার) ঘটনাস্থলের সার্বিক পরিস্থিতি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখার জন্য উলিপুরে আসেন। 

উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টোবর রাতে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উলিপুরের পশ্চিম কালুডাঙ্গা ব্রাহ্মন পাড়া দুর্গামন্দির, পশ্চিম কালুডাঙ্গা সর্বজনীন দুর্গা মন্দির, পশ্চিম কালুডাঙ্গা গোবিন্দ মন্দির, নেফড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দির ও থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা ভারতপাড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দির এবং ১৫ অক্টোবর রাতে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের একটি দুর্গা মন্দিরসহ ৮টি মন্দিরে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মন্দিরসহ প্রতিমা ভাংচুর, মন্দিরে অগ্নিসংযোগ ও মন্দির সংলগ্ন বাড়ি-ঘর ভাংচুর এবং লুটপাট করে। 

এ ব্যাপারে উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ কবির জানান, মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উলিপুর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬টি মামলায় ২৬ জনকে আটক করেছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।

 জুয়েল রানা/আরআই