পাবনার ঈশ্বরদীতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন হোসেনকে (৩৭) গুলি করার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) তার স্ত্রী মোছা. সাজেদা খাতুন বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) রাতে ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার রাতে থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন : উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস, তার সহযোগী শহীদ আমিনপাড়ার আনিছুর রহমানের ছেলে আরাফাত হোসেন রাসেল, আমবাগান মহল্লার মৃত ফরহাদ হোসেনের ছেলে মো. আলমগীর, একই মহল্লার ছইমুদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ও মাহাতাব কলোনির রাজ্জাকের ছেলে সোহেল ওরফে নাটা সোহেল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় শাহিন হোসেন শহরের আলহাজ মোড় বাশেঁরহাটে অবস্থান করছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক এসে শাহিন হোসেনকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। তার বুকে ও পিঠে গুলি লাগে। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরদী পরে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওইদিন ভোরেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজনীতির পাশাপাশি শাহিন আলহাজ্ব বাশেঁরহাটে টোল আদায়ের কাজ করতেন। স্থানীয় রাজনীতি নিয়ে জুবায়ের বিশ্বাসের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। এ বিরোধের জেরেই তাকে হত্যা চেষ্টা করা হতে পারে।

ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শিরহান শরীফ বলেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাস এ হামলার সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে এর আগেও হামলার অভিযোগ রয়েছে। তাই অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, ঘটনার পরই অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ  ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক, তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

রাকিব হাসনাত/এসকেডি