কিশোরগঞ্জে এবার সুজন মিয়া নামে এক চা দোকানির নিমন্ত্রণে চা পানের জন্য দোকানে ছুটে গেলেন কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া পারভেজ। পাশপাশি সুজনকে চা-পাতা ও চায়ের কাপ উপহার হিসেবে দিয়ে আসেন তিনি।

মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের কড়াইকান্দি এলাকার সুজন মিয়ার চায়ের দোকানে উপস্থিত হয়ে চা-পান করেন তিনি।

জানা গেছে, হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের কড়াইকান্দি এলাকার চা দোকানি সুজন মিয়া। ছোট্ট একটি দোকান তার। এটা দিয়েই সংসার চলে। দোকানের সব টিন নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ঝড়ে দোকানের অর্ধেক ভেঙে যায়। ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের টিন পেতে আবেদন করেছিলেন তিনি। যেদিন আবেদন করেছেন সেদিনই কোনো কারণে দোকানটির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন ইউএনও। 

তখন সুজনের সাথে কথা বলে টিন ও অর্থের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। পরে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া টিন দিয়ে দোকান মেরামত করে সেই দোকানে নিমন্ত্রণ জানান সুজন। চা দোকানির নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজ মঙ্গলবার চা পাতা ও চা কাপ নিয়ে দোকানে উপস্থিত হলেন ইউএনও।

এ বিষয়ে চা দোকানি সুজন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইউএনও'র ব্যবহারে আমি মুগ্ধ। দোকানের জন্য টিনের আবেদন করলে তিনি  বিস্তারিত জানতে চান। সব জানানোর পরে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি থামিয়ে কথা বলেন তিনি। সব কর্মকর্তারা যদি আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করতেন তাহলে আমরা খুব খুশি হতাম। 

সুজন মিয়া আরও বলেন, দোকান মেরামত করে ইউএনওকে দাওয়াত করলে তিনি আজ আমার দোকানে এসে চা খেয়ে যান এবং আমাকে উপহারও দিয়ে যান।

এ ব্যাপারে ইউএনও রাবেয়া পারভেজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, সুজন মিয়া আমার কাছে অনেক দিন এসেছেন। যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকুই আবেদন করেছেন। ভদ্রভাবে তার প্রয়োজনটুকু জানিয়েছেন। টিন পেয়ে দোকান ঠিক করে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন আমাকে। আর এ কারণেই তার দোকানে চা খেতে গেছি। তার জন্য কিছু চা পাতা আর কাপও নিয়ে গেছি।

তিনি আরও বলেন, ভিক্ষাবৃত্তি বা প্রতারণায় অভ্যস্ত মানুষ দেখে আমি সংগ্রামী মানুষ খুঁজে বেড়াই। একটু সাহায্য পেলে এরা কঠোর পরিশ্রম করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করে নিবে। সংগ্রামী মানুষের পাশে আছি এবং থাকবো। জনসেবায় জনবান্ধন প্রশাসন।

এসকে রাসেল/ আরআই