ঠাকুরগাঁওয়ে এক যুবককে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক ও কাজিসহ  ৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁওয়ের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী অনির্বান চৌধুরী।  

কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন- ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, স্থানীয় সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, কাজী আব্দুল কাদের, রিতা আক্তার, বাবুল হোসেন, মুসলিম উদ্দীন, আনছারুল, দারাসতুল্লাহ মুন্সি ও সারওয়াল হোসেন। মামলার আরেক আসামি মো. সাজু পলাতক রয়েছেন। 

মামলার নথিতে বলা হয়,  ২০১৯ সালের ৯ মে মামলার বাদী মিজানুর রহমানকে রাস্তা থেকে আটক করে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যান আসামিরা। সেখানে চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মামলার বাদী মিজানুরকে মারপিট করেন। পরে কাজী আব্দুল কাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয় এবং জোরপূর্বক মিজানুর রহমানের সঙ্গে এক নারীর বিয়ে দেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁওয়ের আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর তৎকালীন বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসাব্বেরুল হক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী আবেদুর রহমান বলেন, মামলাটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ মামলায় আসামিপক্ষ জামিন পাওয়ার অধিকার রাখে বলেই আজ আমরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করি। কিন্তু আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। 

মামলার বাদী মিজানুর রহমান বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমাকে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে গিয়ে মারপিট করার পর জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

নাহিদ রেজা/আরএআর