দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সব সময় বন্যা এলে আগাম সতর্ক বার্তা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এবারের বন্যায় তারা কোনো সতর্কবার্তা দেননি। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যর্থতা। এ ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। যদি আগেই সতর্ক বার্তা দিতেন তবে অনেক মানুষ এ ক্ষতি থেকে রক্ষা পেত।

শুক্রবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার মহিমা রঞ্জন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণ বিতরণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এখানে এসেছি। এসেই বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেছি। চার জেলায় যা ঘটেছে তা খুবেই দুঃখজনক। তাই এখানে যত বরাদ্দ প্রয়োজন সব দেওয়া হবে।  

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনার যে ডিজাইন সেটি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। আরও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেগুলো হয়ে গেলে কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে তিস্তা পাড়ের মানুষরা যেহেতু দ্রুত বাস্তবায়ন করার দাবি করছেন, আমি ফিরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বসে এটার সুপারিশ করব।

ত্রাণ বিতরণকালে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রংপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামে ৫০ মেট্রিক টন চাল, পাঁচ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার এবং গো-খাদ্যের জন্য দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেক জেলায় ২শ বান্ডিল টিন দেওয়া হবে এবং ৬ লাখ টাকা দেওয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন, যাদের ঘর একবারে নষ্ট হয়ে গেছে, তাদের তালিকা করে ডিসেম্বরের মধ্যে ঘর দেওয়া হবে। তিস্তার মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করা হচ্ছে।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. মোহসীন, লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন, লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক আবু জাফর, পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা, কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাত হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ  উপস্থিত ছিলেন।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/আরএআর