কক্সবাজারের উখিয়ায় থ্যাংখালীর রোহিঙ্গা শিবিরে দুর্বৃত্তদের ব্রাশফায়ারে ৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো মামলা হয়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

গত ২২ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার ১৮ নং ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ মুজিবুর রহমান নামের একজনকে ৮ এপিবিএন আটক জানালেও তাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়নি বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনজুর মোর্শেদ।

ঢাকা পোস্টকে ওসি বলেন, এখনো মামলা হয়নি। তবে আমরা প্রক্রিয়া চলমান রেখেছি। হয়তো একটু সময় লাগছে।

ব্রাশফায়ারে নিহতরা হলেন উখিয়ার বালুখালী-২-এর ইদ্রিস (৩২), বালুখালী-১ এর ইব্রাহীম হোসেন (২২), ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাসুন্দা নুরুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক (২৬), আবুল হোসেনের ছেলে মো. আমীন (৩২), মোহাম্মদ নবীর ছেলে নুরুল আলম ওরফে হালিম (৪৫), রহিম উল্লার ছেলে হামিদ উল্লাহ (৫৫)। তাদের মধ্যে তিনজন শিক্ষক ও তিনজন ছাত্র রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ৬ মার্ডারের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পরিবার থানায় আসার পর মামলাটি নেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত জেলা পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। তবে অভিযান চলমান আছে। এ ছাড়া অন্য কোনো সংস্থাও কোনো আসামি হস্তান্তর করেনি।

উল্লেখ্য, ২২ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার ১৮ নং ক্যাম্পের দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামীয়া মাদরাসার মসজিদে নামাজরত মুসল্লিদের ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ৮ থেকে ১০ জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ।

এতে ঘটনাস্থলে তিনজন ও পরে হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়। মূলত প্রত্যাবাসন বিরোধীরা মাদরাসাটির নিয়ন্ত্রণ নিতে না পেরে এ হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।

মুহিব/এনএ