নরসিংদীর পলাশে রেলসেতুতে ছবি তুলতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবক নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো টানা ১০ ঘণ্টার অভিযানেও খোঁজ মেলেনি অলি মিয়া নামের ওই যুবকের।

রোববার (২৪ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে এই অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পলাশ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. হাদিউর ইসলাম।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল স্টেশনের পাশে নতুন রেলসেতুর মাঝখানে ট্রেনের ধাক্কায় শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন তিনি।

নিখোঁজ অলি মিয়া (১৯) নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার বড়পাড়া গ্রামের মো. বজলুর রহমানের ছেলে।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও পলাশ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ অলি মিয়া ও তার বন্ধু শাহজাহান শনিবার বিকেল ৪টার দিকে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের দিকে ঘুরতে আসে। তরপর ছবি তোলার জন্য অলি ও তার বন্ধু শাহজাহান স্টেশনের পাশের রেলসেতুর মাঝখানে যায়। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন সেতুতে চলে এলে শাহজাহান দৌড়ে সেতুর এক পাশে চলে এলেও অলি মিয়া পুরোপুরি সরে আসতে পারেনি।

এ সময় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সেতুর নিচে শীতলক্ষ্যা নদীতে পড়ে যায় অলি। পরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত প্রথম দিনের মতো অভিযান চালায় নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ, পলাশ ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের ডবুরি দল। পরে রোববার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুনরায় অভিযান চালিয়ে সমাপ্ত করা হয় অভিযান।

পলাশ ফায়ার স্টেশন অফিসার মো. হাদিউর ইসলাম বলেন, শনিবার বিকেলেই আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসার পর টঙ্গীর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। সেদিনও নিখোঁজ যুবক অলি মিয়াকে উদ্ধার করা যায়নি। রোববার সকাল ৮টা থেকে পুনরায় অভিযান শুরু করি। আজও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

রাকিবুল ইসলাম/এনএ