নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজামণ্ডপসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও হামলার ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ও জামায়াত নেতাসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৪ অক্টোবর) রাতভর জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ও বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজুল্লাহপুর গ্রামের আবু হানিফের ছেলে ফয়সাল ইনাম কমল (৩৯), মীর ওয়ারিশপুর গ্রামের তোফায়েল আহাম্মদের ছেলে আলাউদ্দিন (৩২), নরোত্তমপুর গ্রামের মুজিবুল হকের ছেলে ফজলুর করিম সুমন (৩২), হাজীপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে আব্দুল বাকী শামীম (৪১)। সেনবাগ উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা কাজীরখিল গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. হারুনুর রশিদ (৪৮)।

সদর উপজেলার জাহানারাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মো. রায়হান (৩৮), পূর্ব চরমটুয়া গ্রামের মৃত কারিমুল হক চৌধুরীর ছেলে ফয়সাল বারী চৌধুরী (৪৫), পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্যসচিব ও সূর্য নারায়ণবহর গ্রামের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে বেলায়েত হোসেন (২৬)। চাটখিল উপজেলার ছয়ানী টগবা গ্রামের শাহজাহানের ছেলে পারভেজ হোসেন (২৯)। সোনাইমুড়ী উপজেলার দক্ষিণ পেয়ারাপুর গ্রামের মৃত বদি আলমের ছেলে আব্দুল বারেক (৫৫)। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ৩ নং ওয়ার্ডের আব্দুস সোবাহানের ছেলে মিন্টু (২৩)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য দলীয় স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বিভিন্নভাবে মানুষকে উসকানি দিয়েছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।  আমরা রিমান্ড প্রার্থনা করে আসামিদের থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা করব।

গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনা সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। মন্দির ও পূজামণ্ডপে হামলার ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, পূজা চলাকালে সহিংসতার ঘটনায় জেলায় মোট ২৬টি মামলা করা হয়েছে। মোট গ্রেফতার ১৯২ জন। এর মধ্যে এজাহারনামীয় আসামি ৯০ জন আর সন্দিগ্ধ ১০২ জন।

হাসিব আল আমিন/এনএ