‘রাজাকারপুত্র’কে আ.লীগের মনোনয়ন দেওয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজাকারের ছেলেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের পাশে চৈতন্যবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
ইউনিয়নের শত শত নারী-পুরুষ মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি চৈতন্যবাজার হয়ে কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও একই জায়গায় মিলিত হন।
বিজ্ঞাপন
এ সময় বক্তারা বলেন, তারাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাইফুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। এমনকি তিনি দলের কর্মী সমর্থকও নয়।
তারা বলেন, সাইফুল ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্টোরকিপার পদে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তিনি অবসরে গেছেন। তার বাবা আজিজল হক ছিলেন একাত্তরের শান্তি (পিস) কমিটির সদস্য। তার আট ছেলের মধ্যে ছয়জনই জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে মৌলভী তারা মিয়া এখনও ইউনিয়ন জামায়াতের রোকনদারি সদস্য হিসেবে রয়েছেন। তিনি কিভাবে দলের মনোনয়ন পেলেন সেটা ইউনিয়নবাসির বোধগম্য নয়।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা আরও বলেন, তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান ও তারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ খোকাকে দলীয় নেতাকর্মীরা সমর্থন দিয়েছেন। সারা জীবন তিনি দলের সুখে-দুঃখে ছিলেন। দলীয় প্রতীক তিনিই পাওয়ার যোগ্য।
স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম আউলিয়া বলেন, রাজাকারের ছেলের হাতে নৌকা প্রতীক কীভাবে গেল? কারা এখানে মদদ দিলেন? সব খতিয়ে দেখা দরকার। এ ছাড়া তার মনোনয়ন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- তারাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামছুল হক, সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামী লীগ নেতা মাহালম মিয়া, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আজমুল হোসেন পলাশ, শিক্ষক নাজমুল হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা রিপন মিয়া ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজন মিয়া।
রিপন আকন্দ/এসপি