টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে এক স্কুলছাত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় অপর এক ছেলেকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভার এলেঙ্গা শামসুল হক কলেজের সামনে নবনির্মিত বিল্ডিং থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার ও অপরজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নিহত স্কুলছাত্রীর নাম সুমাইয়া (১৫)। সে উপজেলার পালিমা গ্রামের ফেরদৌস রহমানের মেয়ে এবং এলেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আহত মনির হোসেন (১৭) একই উপজেলার ভাবলা গ্রামের মেহের আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, সুমাইয়া সকালে বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী প্রাইম কোচিং সেন্টারে যাওয়ার জন্য বের হয়। এ সময় তার সঙ্গে ছিল মনির নামে একজন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে শামসুল হক কলেজের সামনে নবনির্মিত বিল্ডিংয়ে নিয়ে হত্যা করে চলে যায়। 

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রাজীব পাল চৌধুরী বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় মনির নামে এক কিশোরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে ভর্তি করা হয়েছে। তার বুকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করায় ভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। এ ছাড়া তার ঘাড়ে দুটি কোপ দেওয়া হয়েছে।

কালিহাতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, সকালে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে জবাই করা এক কিশোরী ও এক কিশোরকে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই কিশোর জীবিত ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আহত ম‌নির পরিবহন শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।

অভিজিৎ ঘোষ/এসপি