লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনাজ আক্তারকে পরিবর্তন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।

এ সময় আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থী পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীকে মনোনীত করা না হলে গণপদত্যাগ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

বুধবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আমির হোসেন খান, ইছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান, সহসভাপতি অলি উল্যাহ, সাধারণ সম্পাদক এসআই ফারুক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসআই ফারুক বলেন, আওয়ামী লীগ করে অনেক কিছু ত্যাগ করেছি, জেল খেটেছি। গার্মেন্টসে কাজ করলে এখন জিএম হতাম। কিন্তু রাজনীতি আমাদের শূন্য করে দিয়েছে। পরিবারের কাছেও এখন লজ্জা পেতে হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন সুপারিশের জন্য আমার কোনো স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। প্রার্থী পরিবর্তন না করলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগ করব।

সভাপতি নুর মোহাম্মদ খান বলেন, মনোনয়ন সুপারিশের জন্য তিনজনের নামের তালিকায় আমি স্বাক্ষর দিয়েছি। তখন শাহনাজের নাম ছিল না। তিনি কখনো আওয়ামী লীগ করেননি। অথচ তাকে প্রার্থী ঘোষণা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে।

সহসভাপতি আমির হোসেন খান বলেন, রাজনৈতিক মামলায় আমি কারাগারে ছিলাম। তখন আমার বাবা মারা যান। আমি বাবাকে কবর দিতেও আসতে পারিনি। এখন দল থেকে অবমূল্যায়ন আমরা মেনে নিতে পারি না।

প্রসঙ্গত, ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শহিদ উল্যাহর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে তার স্ত্রী শাহনাজ আক্তারকে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। তবে আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই তিনি।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এনএ