মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়ায় ৫নং ফেরিঘাটে যানবাহনসহ উল্টে যায় আমানত শাহ নামের ফেরি। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার হয়নি দর্ঘটনা কবলিত ফেরিটি। 

তবে ফেরির ভেতরে আটকে পড়া চারটি পণ্যবাহী ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা আরিচা থেকে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। হামজার পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর কয়েকটি ডুবুরি দল ফেরিতে আটকেপড়া গাড়ি ও কোনো যাত্রী বা ট্রাকের চালক রয়েছে কিনা তা জানতে কাজ শুরু করে। তবে সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ ফেরিডুবির ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

দুপুরে ফেরি থেকে বেঁচে ফেরা ট্রাক চালক ওমর আলী বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ফেরিটি ছাড়ার সময় কাত হয়েছিল। মাঝ নদীতে আসার পরে আরও একটু কাত হয়ে যায় আর পাটুরিয়া ঘাটে ভিড়ার পরপরই ফেরিটি যানবাহনসহ ডুবে যায়। চোখের সামনেই আমার ট্রাকসহ ফেরিটি উল্টে যায়।

ওই ফেরিতে পাটুরিয়ায় আসছিলেন মোটরসাইকেল চালক এসএম নুরুজ্জামান সুজন। তিনি বলেন, যশোর থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। দৌলতদিয়া ঘাটে এ ফেরিতে উঠি। মাঝ নদী আসার পরে ফেরিটি কিছুটা কাত হয়ে গেছে। পাটুরিয়া ঘাটে আসার পর ফেরি থেকে দুটি গাড়ি নামার পরপরই উল্টে যায় ফেরিটি। এ সময় মোটরসাইকেল রেখেই লাফ দেই। কোনোমতে জীবন রক্ষা করতে পারছি।

ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ-পরিচালক দিনমিন শার্মা দুপুরে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তিনি বলেন, এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর এখনও পাইনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ফেরির নিচের অংশে ব্যালেন্স ট্যাংকটি লিকেস হয়ে যায়। এতে ফেরিতে পানি উঠতে শুরু করে এবং ফেরিটি উল্টে যায়।

আজ রাত পৌনে ৯টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন আরিচা আঞ্চিলক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালের দিকে পাটুরিয়ায় ৫নং ফেরিঘাটে পন্টুনে নোঙর করার পরপরই যানবাহনসহ আমানত শাহ নামের ফেরিটি উল্টে যায়। দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৭টি ট্রাক ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে পাটুরিয়া আসে ফেরিটি।

সোহেল হোসেন/আরআই