ঢাকার ধামরাইয়ে নির্বাচনী আধিপত্য বিস্তারের জেরে শিহান (২২) নামের এক যুবককে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আলমগীর নামের আরও একজন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান শিহান। দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাইয়ের কাওয়ালিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শেখ রাসেল।

নিহত শিহান ধামরাইয়ের যাদবপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আমছিমুর এলাকার মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। আহত আলমগীর হোসেন একই এলাকার মৃত মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি বর্তমানে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

আহত আলমগীর হোসেনের ভাই হারুন অর রশিদ জানান, আমরা গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেজাউল মেম্বারের প্রচারণায় বের হই। আমাদের সঙ্গে শিহান ও আলমগীরও ছিল। আমরা প্রচারণা শেষ করে ফিরে আসলেও শিহান ও আলমগীর আসেনি। পরে তাদের ইমরান নামের একজন ফোন করে ইউনিয়নের আমছিমোড় এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে ১৫ থেকে ২০ জন তাদের মারধর করেন।

তিনি আরও জানান, পরে চোখ বেঁধে আমছিমোর মডেল হাইস্কুল-সংলগ্ন বংশী নদীর পাশে শুকুর মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে আবার মারধর করেন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজুর ছেলে দিপু (২৮), ইমরান (২৭), নবিন (২৭)  সাদ্দাম (২৫), শামিমসহ কয়েকজন। খবর পেয়ে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেন। সোমবার ভোররাতে শিহান মারা যান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দীপু আগেই হুমকি দিয়েছিলেন আলমগীর, শিহানসহ তিনজনকে শেষ করে দেবে। তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ধামরাইয়ের কাওয়ালিপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শেখ রাসেল নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর