দাফনের ১৬ মাস পর গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নলগাঁও এলাকা থেকে তানজিনা ইসলাম টুম্পা (২০) নামে এক তরুণীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) দুপুরে আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ সময় গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতি উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের মা মমতাজ বেগম জানান, ২০১৮ সালে টুম্পার সঙ্গে টঙ্গী পূর্ব থানার ইসলামপুর এলাকার মো. সাইদ মৃধার ছেলে সাকিব মৃধার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য টুম্পাকে প্রায়ই মারধর করতো সাকিব ও তার পরিবারের লোকজন। তখন নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে টুম্পা ২০১৯ সালের জুলাই মাসে স্বামী সাকিবের নামে নিকটস্থ থানায় জিডি করে। পরে ২০২০ সালের ১৬ জুন স্বামীর টঙ্গীর বসতঘর থেকে টুম্পার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে সাকিবকে আসামি করে ঘটনার দিনই টুম্পার মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। ঘটনার দিনই টুম্পার নানার বাড়ি কাপাসিয়ার নলগাঁও বুরুজপাড়া বেপারী বাড়ি পারিবারিক কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

গাজীপুর পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান জানান, থানা পুলিশ তদন্ত করে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। কিন্তু বাদী তাতে নারাজি দিয়ে আদালতে পুনরায় তদন্ত ও মরদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য আবেদন করেন। অক্টোবরের শেষের দিকে আদালত পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত ও মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। পরে যথাযথ প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মরদেহ উত্তোলনের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

সে অনুযায়ী মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতির উপস্থিতিতে কবর থেকে টুম্পার মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, মামলা দায়েরের পর ২০২০ সালে আসামি সাকিবকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন। 

শিহাব খান/আরএআর