গাছে বেঁধে মেরে গৃহবধূর চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ
যশোর সদরের মালঞ্চী গ্রামে এক গৃহবধূকে গাছে বেঁধে মারধর ও মাথার চুল কেটে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার বিকেলের দিকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যায় স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বিজ্ঞাপন
নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। গৃহবধূর ছেলেসহ সংঘর্ষে আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্বজনরা জানান, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর প্রথম স্বামী নয় মাস আগে মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রীকে চার শতক জমি লিখে দেন। ওই জমির ওপর চোখ ছিল স্বামীর চাচাতো ভাই আজগর ও রিপনের। তারা গৃহবধূর নামে পরকীয়ার অপবাদ তোলেন। এরপর সালিসে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে তাকে বিয়ে দেন স্থানীয় মাতব্বররা।
বিজ্ঞাপন
দ্বিতীয় বিয়ে হলেও প্রথম স্বামীর দেওয়া জমিতেই ওই গৃহবধূ বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি প্রথম স্বামীর চাচাতো ভাইরা জমি ফেরত চান। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে সালিস বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। পরে চাচাতো ভাইদের নেতৃত্বে আট-দশজন লোক গৃহবধূকে মারতে যান।
এক পর্যায়ে ওই গ্রামের মেম্বার পদপ্রার্থী শিমুল ওই গৃহবধূকে গাছে বাঁধার নির্দেশ দেন। পরে তাকে গাছে বেঁধে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। তাকে বাঁচাতে দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে এগিয়ে যান। ছেলেকেও মারধর করেন গৃহবধূর প্রথম স্বামীর চাচাত ভাইয়েরা। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে তারাও আহত হন। তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আহম্মেদ তারেক শামস্ জানিয়েছেন, আহতদের শরীরের একাধিক স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সোহেল জানান, মালঞ্চী গ্রামে দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে এক নারীর চুল কেটে মারপিট করা হয়েছে। তাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম বলেন, মালঞ্চী গ্রামে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
জাহিদ হাসান/আরএইচ