রানীনগরে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ২৩
নওগাঁর রানীনগর উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল আরিফ রাঙ্গা ও তার কর্মী এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল খালেকের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা উভয় পক্ষের অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার প্রেমতলী বাজারে গোনা ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রচারণার সময় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, আগামী ১১ নভেম্বর রানীনগর উপজেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। উপজেলার গোনা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল খালেক এবং আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকে আবদুল আরিফ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল আরিফ রাঙ্গা বলেন, কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন গ্রামে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। শনিবার বেলা ১১টায় তার মহিলা কর্মীরা ইউনিয়নের ঘোষগ্রাম হিন্দুপাড়ায় ভোট চাইতে যান। সেখানে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল খালেকের কর্মীরা বাধা দিলে ফিরে যান বলে অভিযোগ করেন। খবর পেয়ে তিনিসহ তার কর্মীদের নিয়ে প্রেমতলী বাজারে পৌঁছালে সরকারদলীয় নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তার ও তার কর্মীদের ওপর হামলা চালান। হামলায় তিনিসহ প্রায় ১৪ থেকে ১৫ জন কর্মী আহত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে ফজলে রাব্বি (৩৩), জাকারিয়া (২৬), মোয়াজ্জেম হোসেন (৩১), মেহেদি হাসান (২৩), বজলুর রশিদ (৪৬) মিজানুর রহমান (৫০) সাত-আটজনকে রানীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ফজলে রাব্বির অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার হাত ও পা ভেঙে গেছে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল খালেক বলেন, আমার কর্মীরা প্রেমতলী বাজারে ভোট চাইতে যায়। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আরিফ রাঙ্গা ও তার প্রায় ৬০-৭০ জন কর্মী আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করেছে। এতে সাত-আটজন আহত হয়েছে।
রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন আকন্দ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় থানায় কোনো পক্ষ এখনো অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এনএ