যশোরে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ৬
যশোরের সদরে সেই গৃহবধূকে গাছে বেঁধে মারধর ও মাথার চুল কেটে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবি ও সোমবার তাদের গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় রোববার (৮ নভেম্বর) কোতোয়ালি থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা তিনজনের নামে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী (৪২)।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেন যশোর পুলিশের মুখপাত্র উপপরিদর্শক রুপন কুমার সরকার।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন যশোর সদর উপজেলার মালঞ্চী মধ্যপাড়া গ্রামের রাজিবুল হক শিমুল (৩০), রিপন হোসেন (৩০), আজগর আলী (৩০), আকতার আলী (৩২), বিউটি খাতুন (২৮), বিলকিস বেগম (২৫) ও জোসনা বেগম (২২)। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও তিনজন। তাদের মধ্যে রোববার রিপন, বিউটি, বিলকিস, জোসনাকে এবং সোমবার আজগর ও আক্তারকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর প্রথম স্বামী নয় মাস আগে মারা যান। মৃত্যুর আগে তিনি স্ত্রীকে চার শতক জমি লিখে দেন। ওই জমির ওপর চোখ ছিল স্বামীর চাচাতো ভাই আজগর ও রিপনের। তারা গৃহবধূর নামে পরকীয়ার অপবাদ তোলেন। এরপর সালিসে প্রতিবেশী এক ব্যক্তির সঙ্গে তাকে বিয়ে দেন স্থানীয় মাতব্বররা।
দ্বিতীয় বিয়ে হলেও প্রথম স্বামীর দেওয়া জমিতেই ওই গৃহবধূ বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি প্রথম স্বামীর চাচাতো ভাইরা জমি ফেরত চান। এ নিয়ে শনিবার দুপুরে সালিস বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত হয়। পরে চাচাতো ভাইদের নেতৃত্বে আট-দশজন লোক গৃহবধূকে মারতে যান।
এক পর্যায়ে ওই গ্রামের মেম্বার পদপ্রার্থী শিমুল ওই গৃহবধূকে গাছে বাঁধার নির্দেশ দেন। পরে তাকে গাছে বেঁধে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। তাকে বাঁচাতে দ্বিতীয় স্বামীর ছেলে এগিয়ে যান। ছেলেকেও মারধর করেন গৃহবধূর প্রথম স্বামীর চাচাত ভাইয়েরা। এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে তারাও আহত হন। তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জাহিদ হাসান/এনএ