রংপুরের পীরগাছায় তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র দুই প্রার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে বহিষ্কার করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

বহিষ্কৃতরা হলেন তাম্বুলপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহরাব হোসেন মিঠু ও একই কমিটির সদস্য নুরুজ্জামান।

সোমবার ৮ (নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা পোস্টকে ওই দুজনের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন।

এর আগে ২৮ অক্টোবর দলীয় প্যাডে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।

দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তাম্বুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সোহরাব হোসেন মিঠু মোটরসাইকেল ও একই দলের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুজ্জামান ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মিলন জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওই দুজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হয়েছেন। এটা সরাসরি দলের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান। তারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন। আমরা জরুরি সভা করে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের দুজনকে বহিষ্কার করেছি।

সদ্য বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহরাব হোসেন মিঠু বলেন, দল আমাকে বহিষ্কার করেনি। আমি নিজেই দল থেকে বহিষ্কার হয়েছি। অযোগ্য ব্যক্তিকে নৌকা দিলে তা মেনে নেওয়া যায় না। দল আমাকে কী করল, তা আমার জানার দরকার নাই। জনগণ আমার সাথে আছেন। আমি তাদের জন্য ভোট করছি।

অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুজ্জামান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। চোখের সামনে অনেক কিছুই দেখলাম। যে যোগ্য আর অযোগ্য, তা বলতে চাই না। আমি নৌকার প্রার্থী হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দল আমাকে নৌকা দেয় নাই। যাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তার চেয়ে আমি নিজেকে যোগ্য মনে করছি।

এর আগে গত ২ নভেম্বর উপজেলার পারুল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ খানকেসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের তথ্য গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. নুর নবী ও সদস্য খন্দকার নুর মোহাম্মদকে বহিষ্কার করা হয়।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে পীরগাছা উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আটজন, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র তিন, জাতীয় পার্টির চার, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ছয়, বাংলাদেশ কংগ্রেসের তিন এবং স্বতন্ত্র আরও ১৯ জন রয়েছেন।

এ ছাড়া আট ইউনিয়নে সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৩৩৬ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য ১২২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামী ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এনএ