ইনসার্টে নিহত আমিনুর রহমান

মাত্র আট দিনের পরিচয়ে আমিনুর রহমানের (২০) সঙ্গে বন্ধুত্ব। মোটরসাইকেল কিনতে অর্থের প্রয়োজনে তাকে অপহরণ। এরপর মুক্তিপণের দাবিতে হত্যার পর নদীতে তার লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক বর্ণনা দিয়েছেন ফয়সাল (২২) নামের এক যুবক।

সোমবার (৮ নভেম্বর) অভিযান চালিয়ে পুলিশ ফয়সাল নামের ওই যুবককে আটক করেছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার ও ঘটনাস্থলে পুলিশকে নিয়ে যান ফয়সাল নামের ওই যুবক। ঘটনাস্থলে রক্তের চিহ্ন মিললেও খুঁজে পাওয়া যায়নি কলেজপড়ুয়া আমিনুরের মরদেহ।

নিহত আমিনুর উপজেলার কপিলমুনির শ্যামনগর গ্রামের ছুরমান গাজীর ছেলে ও কপিলমুনি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র। আটককৃত ফয়সাল সরকার পাইকগাছার গদাইপুর গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।

এসব তথ্য ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পাইকগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান।

পুলিশ জানায়, এক সপ্তাহ আগে নিহত আমিনুর রহমান ও ফয়সাল সরদারের মধ্যে পরিচয় হয়। ফয়সাল সরদারের কাছে তার প্রেমিকা আবদার করেছিলেন একটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য। এ টাকা জোগাড় করতে না পেরে তিনি আমিনুর রহমানকে অপহরণ করেন। পরবর্তীতে আমিনুরের বাবা ছুরমান গাজীর কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। ওই টাকা পাইকগাছা সেতুর নিচে রাখতে বলা হয়। রাতে টাকা না পেয়ে আমিনুর রহমানকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। পরে পাইকগাছা সেতুর নিচ থেকে টাকা নিতে এলে তাকে এলাকাবাসীর সহায়তায় আটক করা হয়।

ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, সোমবার সকালে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ফয়সালকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুরকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই যুবক। তার দেওয়া তথ্যমতে পুলিশ রক্তের আলামত শনাক্ত করে। তবে এখনো মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মোহাম্মদ মিলন/এনএ