'ভোটের সময় আইলে চেয়ারম্যান-মেম্বাররা হাতে-পায়ে ধরে। ভোটও দেই। তবুও আমার নামে একটা ভাতার কার্ড অইল না। ভোটের পরে তো আর কেউ খোঁজখবরও নেয় না। সরকার একটা কার্ড দিলে আমার খুব উপকার হইত।’

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার তেলিগাতী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় তেলিগাতী বিএনএইচকে উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন পূর্ব হাতিয়র গ্রামের মৃত আনফর আলীর স্ত্রী শতবর্ষী বৃদ্ধা ফুলেছা বেগম। ভোট দিলেও তখন ক্ষোভ-দুঃখমিশ্রিত কণ্ঠে এভাবে বলেন তিনি।

বয়সের ভারে ন্যুব্জ ফুলেছা বেগম চোখে ঝাপসা দেখেন। ছেলে নূরে আলমের কাঁধে ভর করে ভোট দিতে আসেন। নূরে আলম বলেন, আমার মায়ের বয়স প্রায় ১০০ বছর। বাবা মারা গেছেন প্রায় ৩৫ বছর আগে। আমরা দরিদ্র। এই ইউনিয়নে আমার মায়ের চেয়ে কম বয়সী অনেকেরই কার্ড হয়েছে। কিন্তু আমার মা বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড পাননি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে তেলিগাতী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের মোবাইল নম্বরে বারবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।

আটপাড়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রফিক উদ্দিন সাকলায়েন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ আমি নির্বাচনের ডিউটিতে আছি। তবে নির্বাচন শেষে যেকোনো একদিন ফুলেছা বেগমের খোঁজখবর নিয়ে তাকে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।

উল্লেখ্য, সকাল ৮টা থেকে নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা ও আটপাড়া উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নে ২৪৬ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্তসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এ ছাড়া র‌্যাব ও বিজিবি সদস্যদেরও টহল দিতে দেখা গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ