ধামরাইয়ের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অযথা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ ও মোটরসাইকেল নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ঘোরাঘুরি করায় ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকের বিরুদ্ধে একটি ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মঈনুল হক। এদের মধ্যে দুইজনকে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু রিয়াদ জানান, কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্টনগর কেন্দ্র এলাকায় দুইজন মোটরসাইকেল চালিয়ে ঘোরাঘুরি করছিল। এ সময় নজরে আসলে তাদের আটক করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মঈনুল হক জানান, কুশুরা ইউনিয়নের হামিদা আফাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে দুইজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের অভিভাবকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। ভোটকেন্দ্রে অযথা প্রবেশ করায় নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামানের স্ত্রী আলেয়া জামানকে ভোটকেন্দ্র থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া একই ইউনিয়নের হালুপাড়া ভোটকেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট রিপনকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বেনজির আহমেদ।

রিপন জানান, সকালে নৌকা মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামানের কর্মী-সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে আমাকে মারধর করে বের করে দেয়। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলাম।

ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, ধামরাইয়ে ১৫ ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ চলছে। সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন করে ৭৫ জন পুলিশ ও ১৭ জন করে ২৫৫ জন আনসার ভিডিপি নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া টহল পুলিশ, র‌্যাব, ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

মাহিদুল মাহিদ/এমএসআর