সদস্য প্রার্থীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে চেয়ার-টেবিল বাইরে ফেলে দেওয়া হয়

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চরকাদিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী শামছুল হুদার (ফুটবল প্রতীক) বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে আলি আহম্মদ হাফিজিয়া জামে মসজিদসংলগ্ন ফোরকানিয়া মাদরাসা কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই সিরাজুল ইসলাম পুলিশ সদস্যদের নিয়ে প্রার্থী শামছুল হুদার বাড়িতে গিয়ে লোকজনকে ধাওয়া দেন। এ সময় তিনি লাথি মেরে চেয়ারসহ হনুফা বেগম নামে এক গর্ভবতী নারীকে ফেলে দেন। রান্নাঘরে থাকা গৃহবধূ বিলকিছ বেগমকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন পুলিশ সদস্যরা।

এতে প্রতিবাদ করায় বিলকিছের শাশুড়ি বিবি আয়েশাকেও লাঠিপেটা করা হয়। এ সময় ৩ বছরের শিশু সামিয়া আক্তারকে লাথি মেরে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা।

বাড়ির ভেতরে থাকা যুবক নুর নবী ও মহিন উদ্দিনকেও মারধর করেন এসআই সিরাজুল ও অন্য পুলিশ সদস্যরা।

আহত গর্ভবতী নারী হনুফা বেগম বলেন, ‘আমি বাড়িতে চেয়ারে বসা ছিলাম। পুলিশের দারোগা এসে চেয়ারে লাথি মেরে আমাকে মাটিতে ফেলে দেয়। আমি কোমরে অনেক ব্যথা পেয়েছি।’

বিলকিছ বেগম বলেন, ‘আমি ভাত রান্না করছিলাম। এ সময় পুলিশ এসে আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের হয়ে যেতে বলে। কেন যাব বলতেই হাতের লাঠি দিয়ে আমাকে পেটায় পুলিশ।’

ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী শামছুল হুদা বলেন, ‘এসআই সিরাজ আমার বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে। আমার ভাতের পাতিল ফেলে দিয়েছে। এ সময় মারধরে গর্ভবতী নারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তালা প্রতীকের প্রার্থী জয়নাল আবেদীন মাঝির পক্ষে পুলিশ এ কাজ করেছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাল আবেদীন মাঝি বলেন, ‘তিনজন নারী জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টা করলে প্রশাসন তাদের আটক করে। পরে সতর্ক করে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশ কাউকে মারধর করেনি। কারো বাড়িতেও ঢোকেনি।’

অভিযোগের বিষয়ে কমলনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের কাজ চলছে। মেম্বার প্রার্থীদের কিছু লোক কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে চেয়েছে। আমি দিইনি। বাড়িতে ঢুকে হামলা ও মারধরের ঘটনা সত্য নয়। সুবিধা নিতে না পারায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

হাসান মাহমুদ শাকিল/এমএসআর/জেএস