লাখো পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণে রাঙামাটির রাজবন বিহারে উদযাপিত হয়েছে ৪৮তম দানাত্তম শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব। এটি পার্বত্য অঞ্চলের বুদ্ধদের বৃহত্তম চীবর দানোৎসব। এ দানোৎসবে লাখো মানুষের সমাগম হয়। তবে এবারও করোনার কারণে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চীবর দানোৎসব শেষ হয়েছে।

দানোৎসব উপলক্ষে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় বুদ্ধ পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় দব-মানবের তথা সকল প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা।

ধর্মদেশনায় উপস্থিত ছিলেন- রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। এ সময় তিনি বলেন, বিশাখা প্রবর্তিত এই চীবর অনুষ্ঠান বর্তমানে সার্বজনীন রুপ লাভ করছে। তবে বর্তমানে মানবসমাজ করোনা মহামারিতে আক্রান্ত। করোনা থেকে পৃথিবী ও মানুষকে মুক্তির জন্য বনভান্তের কাছে আমাদের প্রার্থনা করতে হবে।

পঞ্চশীল গ্রহণের পর দুপুরে বনভান্তের মানব প্রতিকৃতির উদ্দশ্যে কঠিন চীবর উৎসর্গ করা হয়। রাজবন বিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান চীবর দান করেন। এ সময় বনভান্তের প্রতিনিধি হিসেবে এই চীবর গ্রহণ করেন আবাসিক প্রতিনিধি শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির।

অন্যান্য বছর এই অনুষ্ঠান ঘিরে দেশ-বিদেশের লাখো ভক্তের জনসমাগম হলেও এবারের অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্তের কারণে দুদিনের অনুষ্ঠান একদিনে হয়েছে। 

মিশু মল্লিক/আরআই