পদ্মাপাড়ের শহর রাজশাহীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জীবনানন্দ কবিতামেলা। শুক্রবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নগরীর বরেন্দ্র কলেজ চত্বরে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা। নবমবারের মতো এই মেলা আয়োজন করছে কবি ও লেখকদের সংগঠন কবিকুঞ্জ।

মেলার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি এবং কবি ও গবেষক অধ্যক্ষ ড. তসিকুল ইসলাম রাজা। স্বাগত বক্তব্য দেন কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার।

কবিকুঞ্জ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অধিবেশনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য কবি আসাদ মান্নান, কবি মাকিদ হায়দার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, একসময় রাজশাহীতে ব্যাপক সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা হতো। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে সেই ধারা থমকে যায়। তখন সাহিত্য ও সংস্কৃতিচর্চা প্রকৃত মুসলমানদের কাজ আখ্যা দিয়ে নানা অপপ্রচার করা হয় এবং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। বর্তমানে এই অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মেলার উদ্বোধক বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কবিরা কখনো চলে যায় না। কবিরা অনন্ত জীবন্ত। তারা এক খণ্ড জীবনের পর অনন্ত জীবনে চলে যায়। তেমনি এক খণ্ড জীবন থেকে অনন্ত জীবনে চলে গেছেন কবি জীবনানন্দ। তিনি বেঁচে আছেন তার অনবদ্য কবিতায়।

মেলার উদ্বোধনীতে কবিকুঞ্জ মুজিব সংকলন ও কবিকুঞ্জ সংকলন-২০২১ বই এর মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা। মেলার প্রথম দিন বিকেলে ছিল বৃন্দআবৃত্তি। কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশিদ এবং কথাসাহিত্যিক মামুন হুসাইনের বক্তৃতা ও কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ।

কবিতামেলার দ্বিতীয় ও শেষ দিন শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত থাকছে কবিতাভ্রমণ। বিকেল ৪টায় কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কথাসাহিত্যিক জাকির তালকুদারের বক্তৃতা, আমন্ত্রিত বাচিকশিল্পীদের কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ বছরের কবিকুঞ্জ পদক ও সম্মাননা প্রদান করা হবে। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক প্রফেসর সনৎকুমার সাহা। এ বছর কবিকুঞ্জ পদক-২০২১ পেয়েছেন কবি আমিনুল ইসলাম। রাত ৮টায় কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ ও মেলার সমাপনী অনুষ্ঠিত হবে।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এমএসআর